জাতীয় উদ্যান লাউয়াছড়া থেকে ৩টি মূল্যবান সেগুন গাছ কেটে নিয়ে গেছে স্থানীয় চোর চক্র। মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার লাউয়াছড়া বন থেকে গত বুধবার গভীর রাতে স্থানীয় একটি সংঘবদ্ধ চোর চক্র ৩টি মূল্যবান সেগুন গাছ কেটে নিয়ে যায়। শনিবার দুপুরে কমলগঞ্জ উপজেলার মুন্সিবাজার-শমসেরনগর সড়কের পাশের কেওড়া বন থেকে চুরি হওয়া সেগুন গাছের ১৬টি খন্ডাংশ উদ্ধার করা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম।

বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, লাউয়াছড়ার বন প্রহরী ও কমিউনিটি পেট্রোলিং গ্রুপ (সিপিজি) দিনের বেলায় বন পাহারা না দিয়ে লাউয়াছড়ায় গাইডিং সার্ভিস নিয়ে ব্যস্ত থাকেন সেই সুযোগে স্থানীয় চোর চক্র দিনের বেলায় বনের ভিতর ডুকে গাছ দেখে যায় এবং রাতের বেলায় সুযোগ বুঝে গাছ কেটে পাচার করে। অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় সংঘবদ্ধ চোর চক্রের সাথে বন বিভাগের কিছু অসাধু বন প্রহরী ও সিপিজি সদস্য সম্পৃক্ত রয়েছেন।

বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম জানান, ‘লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান থেকে চুরি হওয়া সেগুন গাছের ১৬ টি খন্ডাংশ কমলগঞ্জ উপজেলার মুন্সিবাজার-শমসেরনগর সড়কের পাশের কেওড়া বন থেকে শনিবার দুপুরে উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, আমাদের বন বিভাগের কেউ যদি এই কাজে জড়িত থাকে তাহলে তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এদিকে সাধারণ মানুষের মনে তীব্র ক্ষুভ এবং অসন্তুুষের সৃষ্টি হয়েছে।  বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা যায়, গাছ যদি বনে রক্ষা করা না গেলো, কাটা গাছ তাহলে উদ্ধার করে কি লাভ?  এবং যারা এর সাথে জড়িত ছিল তাদেরকে কেন এখনো চিহ্নিত করা গেলো না? কেনো তাদের এখনো গ্রেফতার  বা আইনের  আওতায় আনা হলো না।